হুগলী জেলার
এক প্রাচীন ঐতিহ্যমন্ডিত শহর পান্ডুয়া। আর এখানকার এক বিখ্যাত মেলা
পেঁড়োর মেলা। স্থানীয়রা এই মেলাকে পান্ডুয়ার বাড়ান মেলাও বলে। পান্ডুয়ার
মিনারের পাদদেশে প্রতি বছর মাঘ মাসের ১লা তারিখ প্রাচীন এই মেলাটি বসে। চলে
একমাস ধরে।
পান্ডুয়া এক ঐতিহাসিক স্থান। মধ্যযুগে পান্ডুয়াগড় ছিল পর্যটনের অন্যতম কেন্দ্র। গড়ের পাশে পুরাতন দুই মসজিদ, দুটিতেই হিন্দু স্থাপত্য চিহ্ন বর্তমান। ছোটো ছোটো ইটের গাঁথনি দিয়ে নির্মিত এই গড়টির পুরাতাত্ত্বিক মূল্য অসীম।
বাংলায় মুসলিম আধিপত্য বিস্তারের নানান ইতিহাস বিজড়িত এই পান্ডুয়া। অতীতে অবশ্য পান্ডুনগর নামেই পরিচিত ছিল। শামসুদ্দিন ইউসুফ শাহ(ইতিহাসে যিনি শাহ সুফি নামে পরিচিত)হিন্দু রাজ্য পান্ডুনগর দখল করেন। বিজয় স্মারক হিসাবে তিনি এখানে তৈরি করেন বিজয়স্তম্ভ। ১৩৬ ফুট উচ্চতা ও পাঁচটি স্তরে বিভক্ত বিজয়স্তম্ভটি। তবে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বর্তমানে স্তম্ভটির উচ্চতা কমে হয়েছে ১২৫ ফুট। আর ঐতিহাসিক প্রাচীন এই স্তম্ভের নীচেই বসে পান্ডুয়ার পেঁড়োর মেলা। এছাড়াও এখানে রয়েছে বেশ কয়েকটি অতীত স্থাপত্যের নিদর্শন।
গড়ের সামনে বিশাল মাঠ জিটি রোড পর্যন্ত, রোডের উল্টোদিকে মাজার। প্রতিবছর পয়লা মাঘ থেকে প্রায় এক মাস এই মাঠে মেলা বসে। মেলায় আয় হয় প্রচুর। বর্ধমান নিবাসী মালিকরা তা পেয়ে থাকে। তারাই মেলার জন্যে দোকান, প্রদর্শনী ইত্যাদির দরদাম করে। তবে মেলায় আগত মানুষের দান জমা হয় মাজারের 'দানবাক্স'-তে। মাজারের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই খাদেম পরিবার এর অধিকারী।
মাজারটি হজরত শাহ সুফি সুলতানের মাজার। সৈয়দ আমির আলি ও সৈয়দ মহম্মদ ইউসুফ দুই সাবেক খাদেম, তাঁরা বর্তমানে বেঁচে নেই। তাঁদের তৃতীয় প্রজন্ম বর্তমান খাদেমরা। দুই খাদেম পরিবারের মধ্যে কোনও আত্মীয়তার সম্পর্ক নেই।
মাজারের সংলগ্ন জমিতে সুফি সুলতানের নামে পরবর্তীকালে নির্মিত একটা মসজিদ এবং আবাসিক মাদ্রাসা আছে। মাদ্রাসাটি খারিজি এবং জমিয়ত উলেমায়ে হিন্দের অনুমোদিত। মসজিদের বর্তমান ইমাম আব্দুল রউফ বর্ধমানের মানুষ। রাজনৈতিকভাবে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরির সমর্থক। গত লোকসভা নির্বাচনের প্রচারেও তিনি অংশ নিয়েছেন।
মসজিদ-মাজার বিরোধের সূত্রপাত অবশ্য আজকের নয়। মাজারটিকে সম্পূর্ণভাবে শরিয়তের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা কয়েক দশকের আগে থেকে। হুগলির ফুরফুরা শরিফের প্রত্যক্ষ মদতে অনেক মাজার ক্রমশ মারফতি থেকে শরিয়তির পথে। পান্ডুয়ার মিশ্র জনবিন্যাস, হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের মাজারকে ঘিরে শ্রদ্ধা, উৎসাহ এখানে কিছুটা প্রতিরোধ রেখেছে। খাদেম লাল মহম্মদের কথায়, 'একবার বাধা দিয়ে দেখুক না, মানুষ তা মানবেই না। বিশেষত বিহারীরা তো কিছুতেই না।'
বাধা অবশ্য এসেছে মসজিদ থেকে। মাজারে ধূপকাঠি জ্বালানো হয়। নকুলদানা নিবেদন করা হয়। চাদর চড়ানো হয়। প্রচলিত ধারায় মাজারে এসে সাধারণ মুসলিমরাও মাথা নিচু করে প্রণাম অথবা প্রণামের ভঙ্গি করে থাকে। ইমামের ফতোয়া, এসব চলবে না। মাজারে এসে মাথা নিচু করা 'শিরক'। পিরের কবরে চাদর চড়ানো মানে কবর পূজো করা। এসব ইসলাম বিরোধী।
মাজারের অন্য খাদেম মহম্মদ হোসেন আবার মসজিদপন্থী। ফলে মসজিদ কমিটির জুলুম আরও বেড়েছে। তারা লাল মহম্মদকে দিয়ে দশ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প পেপারে সই করিয়েছে। বক্তব্য, 'না, মসজিদের সাথে মাজারের কোনও বিরোধ নেই'। একই দাগ নম্বরের মধ্যে মসজিদ, কোনও প্রাচীরও নেই মাঝখানে। সহজেই মাজারের দিকে অনধিকার দখল দিনদিন বেড়ে চলেছে।
মসজিদের ইমাম রউফ সাহেব বলেন অন্য কথা। তাঁর অভিযোগ, মাজারের অর্থ ওই দুই পরিবার আত্মসাৎ করে। কোনও সেবামূলক কাজে তা লাগে না। আমরা মাদ্রাসা চালাই, বিভিন্নভাবে সামাজিক কাজে আমরা যুক্ত। মসজিদের অর্থের উৎস জানতে চাইলে তিনি বলেন, অর্থবান মুসলিমরা তাদের সাহায্য করে।
মসজিদ এবং ইমামের আর্থিক স্বচ্ছলতা চোখে পড়ার মতো। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব তাদের সমঝে চলে। মাজারের ভেতরে শাহ সুফি সুলতানের কবরের কাছে মহিলাদের প্রবেশ নিষেধ, কারণ তিনি অবিবাহিত ছিলেন। মহিলারা বাইরে থেকে প্রণাম করে চলে যায়। এসব নিয়ে স্থানীয় মানুষের আপত্তি এখনও প্রতিবাদের আকারে দেখা যায়নি। যদিও মসজিদের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে তারা মাজারে শিরনি দেওয়া, মানত করা, প্রণাম করা চালিয়ে যাচ্ছে।
মেলাপ্রাঙ্গণ থেকে খানিকটা দূরে রয়েছে প্রাচীন একটি তেঁতুলগাছ। জায়গাটি তেঁতুলতলা নামে খ্যাত। আর এই তেঁতুলগাছটি ঘিরে এখানকার সাঁওতালী আদিবাসীরা ‘জাগরণী’ উৎসবে মেতে উঠে। বহু প্রাচীন এই তেঁতুলগাছটি ঘিরে সারাদিন ধরেই চলে সাঁওতালীদের নাচ-গান। এই অনুষ্ঠানেই সাঁওতালী সম্প্রদায়ের যুবক-যুবতীরা তাদের জীবনসঙ্গিনী খুঁজে নেয়। কাউকে পছন্দ হলে ‘ঘোটুলে’ যায়। ঘোটুল হল হোগলা পাতার ছাউনি। পরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয় তারা। আর বিয়ের পরই ছোটে লাগোয়া পেঁড়োর মেলায়।
সারি সারি মিষ্টির দোকান। আর প্রতিটি মিষ্টির দোকানে অগুন্তি মানুষের ভীড়। শুধু মিষ্টি কেনাকাটার জন্যই এই ভীড় নয়। ভীড়ের আরও একটি অন্যতম কারণ কোন দোকানের মিষ্টির সাইজ কত বড়, তা দেখার জন্য।আর এই মেলায় আগত অধিকাংশ মানুষ ভীড় জমায় মিষ্টির দোকানের সামনে। এই মেলার প্রধান আকর্ষণই হল পেল্লাই সাইজের মিষ্টি ও পান্তুয়ার গড়ন। স্থানীয় বাসীন্দাদের কাছ থেকে জানা যায়, একসময় এই মেলায় ১৫ কেজি ময়দা দিয়ে তৈরি হত এক-একটি গজা ও পান্তুয়া। ১০ কেজি ময়দা দিয়ে তৈরি হত এক-একটি অমৃতি ও রাজভোগ। নব্বই দশকের গোড়ার দিকেও মেলায় এই সব দৈত্যাকার মিষ্টির পসরা সাজিয়ে বসত দোকানিরা। তবে বর্তমানে অতবড় মিষ্টি মেলায় আর দেখতে পাওয়া না গেলেও এখনও আর পাঁচটা সাধারণ মিষ্টির সাইজের থেকে পেঁড়োর মেলার মিষ্টির আকার অনেকটাই বড়। প্রাচীন এই মেলাটি হিন্দু-মুসলমানের মিলনক্ষেত্র হিসাবেও পরিচিত।
পান্ডুয়া এক ঐতিহাসিক স্থান। মধ্যযুগে পান্ডুয়াগড় ছিল পর্যটনের অন্যতম কেন্দ্র। গড়ের পাশে পুরাতন দুই মসজিদ, দুটিতেই হিন্দু স্থাপত্য চিহ্ন বর্তমান। ছোটো ছোটো ইটের গাঁথনি দিয়ে নির্মিত এই গড়টির পুরাতাত্ত্বিক মূল্য অসীম।
বাংলায় মুসলিম আধিপত্য বিস্তারের নানান ইতিহাস বিজড়িত এই পান্ডুয়া। অতীতে অবশ্য পান্ডুনগর নামেই পরিচিত ছিল। শামসুদ্দিন ইউসুফ শাহ(ইতিহাসে যিনি শাহ সুফি নামে পরিচিত)হিন্দু রাজ্য পান্ডুনগর দখল করেন। বিজয় স্মারক হিসাবে তিনি এখানে তৈরি করেন বিজয়স্তম্ভ। ১৩৬ ফুট উচ্চতা ও পাঁচটি স্তরে বিভক্ত বিজয়স্তম্ভটি। তবে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বর্তমানে স্তম্ভটির উচ্চতা কমে হয়েছে ১২৫ ফুট। আর ঐতিহাসিক প্রাচীন এই স্তম্ভের নীচেই বসে পান্ডুয়ার পেঁড়োর মেলা। এছাড়াও এখানে রয়েছে বেশ কয়েকটি অতীত স্থাপত্যের নিদর্শন।
গড়ের সামনে বিশাল মাঠ জিটি রোড পর্যন্ত, রোডের উল্টোদিকে মাজার। প্রতিবছর পয়লা মাঘ থেকে প্রায় এক মাস এই মাঠে মেলা বসে। মেলায় আয় হয় প্রচুর। বর্ধমান নিবাসী মালিকরা তা পেয়ে থাকে। তারাই মেলার জন্যে দোকান, প্রদর্শনী ইত্যাদির দরদাম করে। তবে মেলায় আগত মানুষের দান জমা হয় মাজারের 'দানবাক্স'-তে। মাজারের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই খাদেম পরিবার এর অধিকারী।
মাজারটি হজরত শাহ সুফি সুলতানের মাজার। সৈয়দ আমির আলি ও সৈয়দ মহম্মদ ইউসুফ দুই সাবেক খাদেম, তাঁরা বর্তমানে বেঁচে নেই। তাঁদের তৃতীয় প্রজন্ম বর্তমান খাদেমরা। দুই খাদেম পরিবারের মধ্যে কোনও আত্মীয়তার সম্পর্ক নেই।
মাজারের সংলগ্ন জমিতে সুফি সুলতানের নামে পরবর্তীকালে নির্মিত একটা মসজিদ এবং আবাসিক মাদ্রাসা আছে। মাদ্রাসাটি খারিজি এবং জমিয়ত উলেমায়ে হিন্দের অনুমোদিত। মসজিদের বর্তমান ইমাম আব্দুল রউফ বর্ধমানের মানুষ। রাজনৈতিকভাবে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরির সমর্থক। গত লোকসভা নির্বাচনের প্রচারেও তিনি অংশ নিয়েছেন।
মসজিদ-মাজার বিরোধের সূত্রপাত অবশ্য আজকের নয়। মাজারটিকে সম্পূর্ণভাবে শরিয়তের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা কয়েক দশকের আগে থেকে। হুগলির ফুরফুরা শরিফের প্রত্যক্ষ মদতে অনেক মাজার ক্রমশ মারফতি থেকে শরিয়তির পথে। পান্ডুয়ার মিশ্র জনবিন্যাস, হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের মাজারকে ঘিরে শ্রদ্ধা, উৎসাহ এখানে কিছুটা প্রতিরোধ রেখেছে। খাদেম লাল মহম্মদের কথায়, 'একবার বাধা দিয়ে দেখুক না, মানুষ তা মানবেই না। বিশেষত বিহারীরা তো কিছুতেই না।'
বাধা অবশ্য এসেছে মসজিদ থেকে। মাজারে ধূপকাঠি জ্বালানো হয়। নকুলদানা নিবেদন করা হয়। চাদর চড়ানো হয়। প্রচলিত ধারায় মাজারে এসে সাধারণ মুসলিমরাও মাথা নিচু করে প্রণাম অথবা প্রণামের ভঙ্গি করে থাকে। ইমামের ফতোয়া, এসব চলবে না। মাজারে এসে মাথা নিচু করা 'শিরক'। পিরের কবরে চাদর চড়ানো মানে কবর পূজো করা। এসব ইসলাম বিরোধী।
মাজারের অন্য খাদেম মহম্মদ হোসেন আবার মসজিদপন্থী। ফলে মসজিদ কমিটির জুলুম আরও বেড়েছে। তারা লাল মহম্মদকে দিয়ে দশ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প পেপারে সই করিয়েছে। বক্তব্য, 'না, মসজিদের সাথে মাজারের কোনও বিরোধ নেই'। একই দাগ নম্বরের মধ্যে মসজিদ, কোনও প্রাচীরও নেই মাঝখানে। সহজেই মাজারের দিকে অনধিকার দখল দিনদিন বেড়ে চলেছে।
মসজিদের ইমাম রউফ সাহেব বলেন অন্য কথা। তাঁর অভিযোগ, মাজারের অর্থ ওই দুই পরিবার আত্মসাৎ করে। কোনও সেবামূলক কাজে তা লাগে না। আমরা মাদ্রাসা চালাই, বিভিন্নভাবে সামাজিক কাজে আমরা যুক্ত। মসজিদের অর্থের উৎস জানতে চাইলে তিনি বলেন, অর্থবান মুসলিমরা তাদের সাহায্য করে।
মসজিদ এবং ইমামের আর্থিক স্বচ্ছলতা চোখে পড়ার মতো। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব তাদের সমঝে চলে। মাজারের ভেতরে শাহ সুফি সুলতানের কবরের কাছে মহিলাদের প্রবেশ নিষেধ, কারণ তিনি অবিবাহিত ছিলেন। মহিলারা বাইরে থেকে প্রণাম করে চলে যায়। এসব নিয়ে স্থানীয় মানুষের আপত্তি এখনও প্রতিবাদের আকারে দেখা যায়নি। যদিও মসজিদের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে তারা মাজারে শিরনি দেওয়া, মানত করা, প্রণাম করা চালিয়ে যাচ্ছে।
মেলাপ্রাঙ্গণ থেকে খানিকটা দূরে রয়েছে প্রাচীন একটি তেঁতুলগাছ। জায়গাটি তেঁতুলতলা নামে খ্যাত। আর এই তেঁতুলগাছটি ঘিরে এখানকার সাঁওতালী আদিবাসীরা ‘জাগরণী’ উৎসবে মেতে উঠে। বহু প্রাচীন এই তেঁতুলগাছটি ঘিরে সারাদিন ধরেই চলে সাঁওতালীদের নাচ-গান। এই অনুষ্ঠানেই সাঁওতালী সম্প্রদায়ের যুবক-যুবতীরা তাদের জীবনসঙ্গিনী খুঁজে নেয়। কাউকে পছন্দ হলে ‘ঘোটুলে’ যায়। ঘোটুল হল হোগলা পাতার ছাউনি। পরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয় তারা। আর বিয়ের পরই ছোটে লাগোয়া পেঁড়োর মেলায়।
সারি সারি মিষ্টির দোকান। আর প্রতিটি মিষ্টির দোকানে অগুন্তি মানুষের ভীড়। শুধু মিষ্টি কেনাকাটার জন্যই এই ভীড় নয়। ভীড়ের আরও একটি অন্যতম কারণ কোন দোকানের মিষ্টির সাইজ কত বড়, তা দেখার জন্য।আর এই মেলায় আগত অধিকাংশ মানুষ ভীড় জমায় মিষ্টির দোকানের সামনে। এই মেলার প্রধান আকর্ষণই হল পেল্লাই সাইজের মিষ্টি ও পান্তুয়ার গড়ন। স্থানীয় বাসীন্দাদের কাছ থেকে জানা যায়, একসময় এই মেলায় ১৫ কেজি ময়দা দিয়ে তৈরি হত এক-একটি গজা ও পান্তুয়া। ১০ কেজি ময়দা দিয়ে তৈরি হত এক-একটি অমৃতি ও রাজভোগ। নব্বই দশকের গোড়ার দিকেও মেলায় এই সব দৈত্যাকার মিষ্টির পসরা সাজিয়ে বসত দোকানিরা। তবে বর্তমানে অতবড় মিষ্টি মেলায় আর দেখতে পাওয়া না গেলেও এখনও আর পাঁচটা সাধারণ মিষ্টির সাইজের থেকে পেঁড়োর মেলার মিষ্টির আকার অনেকটাই বড়। প্রাচীন এই মেলাটি হিন্দু-মুসলমানের মিলনক্ষেত্র হিসাবেও পরিচিত।
No comments:
Post a Comment