সম্প্রতি ভুপালে পশুপাখীর অধিকার সংরক্ষণ কর্মীরা
তাজ-উল-মসজিদের সামনে, ঈদ-আল-আধাতে মুসলমানদের পশু কোরবানি না দেবার অনুরোধ
সম্বলিত বাণীর প্ল্যাকার্ড নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁদের
বক্তব্য ছিল নিরামিষ আহার স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো তো বটেই, উপরন্তু পরিবেশ,
প্রকৃতি ও পশুপাখীদের জন্যেও ভালো। বেনাজির সুরাইয়া ছিলেন এই কর্মীদের
একজন। তাঁর পরিধানে ছিল সবুজ রঙের হিজাব এবং লেটুস পাতা দিয়ে মোড়া
পরিচ্ছ্দ। তাঁর হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল Make Eid happy for all- Try
Vegan, অর্থাৎ ঈদ যেন সবার জন্য আনন্দময় হোক, নিরামিষ খাবার খেয়ে দেখার
চেষ্টা করতে পারেন।
এই আন্দোলনের আয়োজন করেছিল মুম্বাইয়ের PETA নামে একটি পশুপাখীর অধিকার
সংরক্ষণে নিয়োজিত সংস্থা যার সদস্যরা বিশ্বাস করে যে এই পৃথিবীতে পশুদের
অস্তিত্ব শুধুমাত্র আমাদের খাদ্য, পোষাক আর আমোদের চাহিদা পূরণ করবার জন্য
নয়। কিন্তু জনতার ওপর তাদের এই বাণীর তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় , তারা PETAর
মহিলাকর্মীদের ওপর চড়াও হয়ে ঘুষি থেকে আরম্ভ করে জুতো ও পাথরও ছুড়ল। পুলিশ
সেই কর্মীদের না বাঁচালে ঘটনা আরো খারাপ হতে পারত। পরবর্তিকালে ধর্মীয়
অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য পুলিশও বেনাজির সুরাইয়া ও আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করে ।
বেনাজির বলতে চেয়েছিলেন পশুদের হত্যা না করেও
পবিত্র ঈদ-উল-আধা পালন করা সম্ভব, প্রাণী হত্যা না করে নিরামিষ পুষ্টিকর
খাবার খেয়ে বাঁচা সম্ভব, একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ে তোলা সম্ভব।
কিন্তু বেনাজিরের এই কথা শুধুমাত্র ইসলামের জন্যই প্রযোজ্য নয়, পশুদের
প্রতি দয়া সব ধর্মেরই মর্ম। মহাত্মা গান্ধী কলকাতার কালীঘাট মন্দিরে পশুর
বলি দেখে খুবই মর্মাহত হয়েছিলেন। পরে নিজের আত্মকাহিনীতে তিনি লিখেছিলেন যে
একজন সাধুকে যখন তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ”এই পশুবলিকে কি আপনি ধর্ম বলে
মনে করেন?” তখন সাধু উত্তরে বলেছিলেন, “এমন কোন মানুষ আছে যে পশুবলিকে ধর্ম
বলে মনে করবে?” গান্ধী মনে করতেন পশুবলি এমন একটি পাপ যার স্থান নেই কোন
ধর্মেই।
নবী হযরত মুহাম্মদ যিনি “পুরো সৃষ্টির রহমত” হিসেবে
এসেছিলেন (আল কুরান ২১:১০৭) তিনি পশুদের প্রতি সদয় ব্যবহার করতে বলেছিলেন।
সুন্নি ইসলামের অন্যতম হাদিথ গ্রন্থ, শাহি আল-বুখারিতে লেখা আছে হযরত
মুহাম্মদকে একবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে পশুপক্ষীদের প্রতি দয়ামায়া দেখালে
কি পরকালে কেউ পুরস্কৃত হয়। হযরত মুহাম্মদ উত্তরে বলেন, “যে কোনো প্রাণীকে
দয়ামায়া দেখালে তার পুরস্কার নিশ্চয়ই আছে।” কিন্তু ঈদের সময় পশুদের সাথে
যে দুর্গতি ঘটে তা দয়ামায়া থেকে অনেক দূরে। কুরবানির বলির আগে পশুদের আগে বহুদূর থেকে জল ও খাবার ছাড়া হয় হাঁটিয়ে নিয়ে আসা হয়, অথবা
ট্রাকে গাদাগাদি করে অবর্ণনীয় দুদর্শার মধ্যে চালান দেওয়া হয়। এমন কি একটি
ক্ষেত্রে ভারত সীমান্ত থেকে বাংলাদেশ পাচারের ক্ষেত্রে ঐ পার থেকে পাহাড়ের ঢাল দিয়ে পশুদের ঠেলে গড়িয়ে
দেবার ঘটনাও আছে। তাই এর মধ্যে অনেক পশুই গরমে, না খেতে পেয়ে অথবা অন্যান্য
অত্যাচারে যাত্রা শেষ হবার আগেই মারা যায়। কুরবানির বা বলির সময় তাদের পা বেঁধে
গলার উপর দিয়ে ছুরি বা খাঁড়া চালালে জীবন ও মরণের মধ্যে লড়াইয়ে তারা ছটফট করতে থাকে
আর তাদের শেষ নিশ্বাস না পড়া পর্যন্ত কয়েক মিনিট পার হয়ে যেতে পারে। আর এই
মর্মান্তিক দৃশ্যটি সংঘটিত হয় বাদবাকি অপেক্ষারত আতঙ্কিত পশুদের সামনে।
এই পুরো ব্যাপারটা না মানবিক না হালাল এবং যে ইসলাম আমাদের ভালোবাসা ও
দয়ামায়ার ব্যাপারে সংবেদী হতে শেখায় তার সাথে এর কোনও সঙ্গতি নেই। তাই
PETA বলতে চেয়েছিল আমিষ পদার্থের বদলে শব্জী, ফলমূল, অথবা অর্থ ইত্যাদি
দান করলে ইসলামের নীতি মেনে চলাও হবে এবং হযরত ইব্রাহিমের কাহিনীকে
স্মৃতিতে জাগ্রত রাখা যাবে। আল কুরানে লেখাই আছে আল্লাহাতালার কাছে কুরবানি
দেওয়া পশুটি বা তার রক্ত পৌছায় না, পৌঁছায় শুধু মানুষের ধর্মানুরাগ (আল
কুরান ২২;৩৭)।
আজ আমি আবার আমার সব হিন্দু ও মুসলমান বন্ধুদের কাছে পশু কোরবানি বা বলি দেবার রীতিকে
পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।হিন্দু ধর্মের অর্থ যদি ত্যাগ ও তিতিক্ষা এবং ইসলামের মর্ম যদি উদারতা এবং সমবেদনা
হয় তাহলে পশু কুরবানি বা বলি দেওয়া ছাড়াও আরও অনেক পদ্ধতি খুঁজে নেওয়া যাবে।
পূজায় পশুবলি উচিত কি না?
শাস্রে পূজায় বলির কথা বলা হয়েছে কিন্তুু
সরাসরি পশুবলির কথা বলা হয়নি। শাস্ত্রে পূজার মাধ্যমে কাম, ক্রোধ, লোভ,
হিংসাকে বলির কথা বলা হয়েছে পশুবলির কথা বলা হয় নি।
তাছাড়া মহাজ্ঞানী শ্রীশঙ্করাচার্য বলেছেন "জীব ব্রম্মইব নপর"
জীব ব্রম্ম ছাড়া কিছুই নয়।
এই কথা সবসময় মনে রাখতে হবে। যিনি নিজেকে প্রকৃত হিন্দু মনে করেন তিনি এই কোনদিন পশুবলি
দেওয়ার পক্ষে হতে পারেন না।
ইরানের জরথ্রুস্ট ধর্ম আর ভারতীয় বৈদিক আর্য ধর্ম প্রায় সমগোত্রীয় যেমনটা
ভারতীয় বৈদিক আর্যদের সাথে ইরানীয় আর্যদের একটা জাতিগত মিল আছে। ভারতীয়
আর্য হল আর্মেনীয় আর্য আর ইরানীয়রা হল পারসিক আর্য। আর জার্মানরা হল
নর্ডিক আর্য। যাইহউক, হিন্দুদের মূল ধর্মগ্রন্থ হল বেদ, বেদের দার্শনিক
ব্যাখ্যা হল উপনিষদ ও বেদান্ত আর পুরান বা স্মৃতিশাস্ত্র হল ইতিহাস গ্রন্থ।
হিন্দুরা ভগবদ গীতাকে মনে করে ঈশ্বরের বানী যা ঈশ্বরের মহাবতার শ্রীকৃষ্ণ
নিজ মুখে বলেছিলেন। গীতাকে সর্ব উপনিষদের সার বলা হয়। এই গীতাতে পশুবলিকে
রদ করা হয়েছে। ভগবান গীতায় বলেছেন, পত্র পুষ্প ফল মূল ভক্তিসহকারে নিবেদন
করলে তিনি তা গ্রহণ করেন (গীতা ৯/২৬)। গীতায় আরও বলা হয়েছে যে, বেদের
কর্মসমূহ হল জাগতিক গুণসম্পন্ন (গীতা ৮/২৮)। কিন্তু গীতার শিক্ষা হল জাগতিক
গুণের অতীত হওয়া। কর্মের উদ্দেশ্য হল জ্ঞান, জ্ঞানের উদ্দেশ্য হল ভক্তি,
ভক্তির উদ্দেশ্য হল মুক্তি লাভ করা। যাহোক বেদে গোমেধ, অশ্বমেধ প্রভৃতি
যজ্ঞে পশু বলের বিধান ছিল। কিন্তু মহির্ষি বশিষ্ঠ গোমেধ, অশ্বমেধ প্রভৃতি
যজ্ঞের বিধান রহিত করেন। গীতায়ও ভগবান এর পরিবর্তে জ্ঞান, ভক্তি, ধ্যান
প্রভৃতি যোগের কথা বলেছেন। তবে তন্ত্রমতে কালিপূজায় যে পশুবলি দেয়া হয় তাকে
তমোগুণসম্পন্ন বলা হয়েছে যা হল নিন্মতম স্তরের গুণ এবং তা গীতায় অনুমোদিত
হয়নি।একসময় নরবলি ও সতীদাহকেও ধর্মের মোড়ক দেওয়া হয়েছিল ,আমরা যদি এইসব কুসংস্কারের থেকে বেরিয়ে আসতে পারি, তবে ধর্মের নাম করে নৃশংস পশুবলি বা কুরবানী থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারবোনা কেন। ......
ব্রাহ্মণ্য ধর্মের ভণ্ডামির উপর
চমৎকার স্যাটায়ার লিখতেন ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়, তাঁর ডমরুচরিত
ইত্যাদি অনেক গল্পে। একটি গল্পে তিনি একজন অত্যন্ত ধার্মিক নিষ্ঠাবান হেঁদু
ব্রাহ্মণ ‘শ্রীল শ্রীযুক্ত গোলোক চক্রবর্তী’ মহাশয়ের পাঁঠা ব্যবসার
মর্মস্পর্শী ছবি এঁকেছেন। ঠাকুরমশায়ের ব্যবসা হল পাঁঠার খোঁয়াড় চালানো,
এবং ধর্মমতে পাঁঠা বলি দিয়ে তার ‘শাস্ত্রসম্মত’ মাংস নিষ্ঠাবান খাদকদের
কাছে জোগান দেওয়া, আর চামড়া-টামড়া বিক্রি করে উপরি আয়।
পাঁঠাকে
ফেলিয়া ঠাকুর মহাশয় তাহাকে সেই খোঁটায় বাঁধিলেন। তাহার পর তাহার মুখদেশ
নিজের পা দিয়া মাড়াইয়া জীয়ন্ত অবস্থাতেই মুণ্ডদিক হইতে ছাল ছাড়াইতে
আরম্ভ করিলেন। পাঁঠার মুখ গুরুদেব মাড়াইয়া আছেন, সুতরাং সে চীৎকার করিয়া
ডাকিতে পারিল না। কিন্তু তথাপি তাহার কণ্ঠ হইতে মাঝে মাঝে এরূপ বেদনাসূচক
কাতরধ্বনি নির্গত হইতে লাগিল যে, তাহাতে আমার বুক যেন ফাটিয়া যাইতে লাগিল।
তাহার পর তাহার চক্ষু দুইটি! আহা! আহা! সে চক্ষু দুইটির দুঃখ আক্ষেপ ও
ভর্ৎসনাসূচক ভাব দেখিয়া আমি যেন জ্ঞান-গোচরশূন্য হইয়া পড়িলাম। সে চক্ষু
দুইটির ভাব এখনও মনে হইলে আমার শরীর রোমাঞ্চ হইয়া উঠে। আমি আর থাকিতে
পারিলাম না। আমি বলিয়া উঠিলাম— ‘ঠাকুর মহাশয়! ঠাকুর মহাশয়! করেন কি?
উহার গলাটা প্রথমে কাটিয়া ফেলুন। প্রথম উহাকে বধ করিয়া তাহার পর উহার
চর্ম্ম উত্তোলন করুন।’
ঠাকুর মহাশয় উত্তর করিলেন—‘চুপ! চুপ! বাহিরের
লোক শুনিতে পাইবে। জীয়ন্ত অবস্থায় ছাল ছাড়াইলে ঘোর যাতনায় ইহার শরীরের
ভিতরে ভিতরে অল্প অল্প কাঁপিতে থাকে। ঘন ঘন কম্পনে ইহার চর্ম্মে একপ্রকার
সরু সরু সুন্দর রেখা অঙ্কিত হইয়া যায়। এরূপ চর্ম্ম দুই আনা অধিক মূল্যে
বিক্রীত হয়। প্রথম বধ করিয়া তাহার পর ছাল ছাড়াইলে সে চামড়া দুই আনা কম
মূল্যে বিক্রীত হয়। জীয়ন্ত অবস্থায় পাঁঠার ছাল ছাড়াইলে আমার দুই আনা
পয়সা লাভ হয়। ব্যবসা করিতে আসিয়াছি, বাবা! দয়ামায়া করিতে গেলে আর
ব্যবসা চলে না।’
পৃথিবীর নিয়মই হচ্ছে খাদ্য খাদকের ,তৃণভোজী মাংসাশী কেউই এই নিয়মের বাইরে
নয় . এইক্ষেত্রে বলে রাখি একটি গাছ ও কিন্তু একটি প্রাণ . জীবনধারণের জন্য
খাদ্য খাদকের সম্পর্ক আর ধর্মের নাম করে নৃসংশ প্রাণীহত্যা ,....... এই
দুটোর প্রেক্ষিত আলাদা . যে কোনো ধর্মেরই মূল কথা হলো ,মানবতা,ত্যাগ,উদারতা
,সমবেদনা ,ইত্যাদি . এই নৃশংসতা কোনো ধর্মানুরাগ হতে পারে না ..........
'ধর্ম' হচ্ছে কোন কিছুর অবস্থা, গুণ বা বৈশিষ্ট্য।যেমন,জলের ধর্ম তারল্য,আগুনের ধর্ম উত্তাপ;
ঠিক তেমনিভাবে প্রত্যেক মানুষেরও ধর্ম আছে।আর তা হচ্ছে মনুষ্যত্ব।
জলের ধর্ম যেমন জল নিজে সৃষ্টি করেনি
বা এমনি এমনি সৃষ্টি হয়নি; ঠিক
তেমনিভাবে মানুষের ধর্মও মানুষ নিজে
সৃষ্টি করেনি, করেছেন স্রষ্টা।তাই
প্রকৃতপক্ষে ধর্ম হচ্ছে স্রষ্টা আর সৃষ্টির মধ্যে যে সম্পর্ক।
আমার
মত হল ,যা মানুষকে ধারন করে থাকে তাই ধর্ম . ...... সব ধর্মেই ধর্মের
মোড়কে নৃশংসতা সৃষ্টি হয়েছিল একটা সাধু উদ্দেশ্য নিয়ে,(অবশ্য এটা আমার
নিজস্ব ব্যাখ্যা,আমি পন্ডিত নই ,ধর্ম সম্পর্কে বিশেষ কিছু বুঝিও না , আমি
আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে যতটুকু বুঝি,তাই বলার চেষ্টা করি ) একসময় বিরাট সংখক
মানুষ আর্থিকভাবে অনুন্যত ছিল,রাজা বা ধনী মানুষের পৃষ্ঠপোষকতায় পশুদের
বলি বা কুরবানী করে তার মাংস এই দরিদ্র শ্রেণীর বিতরণ করা হতো .
আমাদের হুগলী জেলায় এখনো বিভিন্ন জায়গায় ধর্মের নাম করে পশুবলির প্রথা চালু রয়েছে। কোন্নগরের শকুন্তলা কালীপুজোয় ছাগবলি,বলাগড়ের রাসমেলায় মহিষবলি ,ইনছুড়ার ঝাঁপানে ছাগবলি,দুর্গাপূজার অষ্টমীর দিনে রাজবলহাটের দেবী রাজবল্লভীর মন্দিরে মহিষবলি,ও আরো অনেক জায়গায় ধর্মের নাম করে এই পৈশাচিক প্রথা চলে আসছে।
আমাদের
এলাকায় বিন্দুবাসিনী পুজো (যার পরিপ্রেক্ষিতে এই পোস্ট তীর অবতারণা )
আঙিনায় গত 303 বছর ধরে ছাগল,ভেড়া ও মোষ বলি হয়ে আসছে , বলির দিনই এই
দেহগুলো আদিবাসী পাড়ায় দিয়ে দেওয়া হতো . এই উপলক্ষ্যে পরদিন আদিবাসী
সম্প্রদায়ের এক মেলা হতো
সময়ের সাথে সাথে সব কিছুই বদলে যায়,আচরণ
সামাজিকতা,ধর্মাচরণ ও , সময়ের সাথে সাথে বলাগড় অঞ্চল ও উন্নত, আজ আদিবাসী
পাড়ায় অনেক শিক্ষিত মানুষের বাস, তাঁদের অনেকেই শিক্ষক,সরকারি কর্মচারী,বা
অন্যান্য....... এই পাড়ার অনেক মানুষই আজ এই বীভৎস প্রথার বিরুদ্ধাচরণ করেন
, প্রায় দুই দশক আগেই এই আদিবাসী মেলা বন্ধ হয়ে গেছে ,
আমি মনে করি আজ
আর এই মোষ বলির কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই. একসময় সমাজের পিছিয়ে পড়া এই আদিবাসী
সম্প্রদায়ের মানুষজন সময় ও সমাজকে সম্মান জানিয়ে এই মেলা বন্ধ করে দিতে
পারেন, আমরা স্বঘোষিত শিক্ষিত বুদ্ধিমান,উচ্চবর্ণের মানুষরা কেন এই নৃশংস
বীভৎস প্রথা বন্ধ করতে পারবো না ............
আমি বিশ্বাস করি এবং আমার ধারণা আমার মত অনেক মানুষই বিশ্বাস করেন ,মানুষের একটাই ধর্ম মানবতা। আসুন আমার নিজ ধর্মের মূল কথা মানবতাকে
সম্মান করি,...............
আসুন, আমরা পথ দেখাই ,বন্ধ হোক এই পৈশাচিক প্রথা ,........
আমাদের ধর্মাচরণ শুরু হোক বলাগড়ের রাসমেলায় বলি বন্ধ করেই। ....................
যুগে যুগে হুগলি জেলাই পথ দেখিয়েছে বাংলাকে তথা ভারতবর্ষকে, পশুবলির এই পৈশাচিক প্রথা বন্ধে হুগলি জেলা পথ দেখাক।............
বলাগড়ের রাসমেলায় বিন্দুবাসিনী পুজো পথ দেখাক।............................
কোন্নগরের শকুন্তলা কালীপুজো পথ দেখাক।.......................
ইনছুরার ঝাঁপান মেলায় মনসা পুজো পথ দেখাক।.............................
রাজবলহাটের রাজবল্লভী মায়ের পুজো পথ দেখাক।............................................
আগামী বসন্তে শ্রীপুর বলাগড়ের রাসমেলা ও বিন্দুবাসিনী পুজো হোক বলিবিহীন,নির্মল,.............মা বিন্দুবাসিনীর চরণে নিরীহ পশুদের বদলে ,আমরা বলি দিই আমাদের কাম ,ক্রোধ,লোভ ও হিংসাকে ,...........