Monday, 22 August 2016

কালিয়াগড়

কালিয়াগড়  বলাগড় থানার অধীন এক প্রাচীন বর্ধিষ্ণু গ্রাম। এই জায়গার আদি নাম ছিল 'খুর্দ্দেশআ  মোহাম্মদপুর , ' এই গ্রামের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সিদ্ধেশ্বরী কালী মাতার নাম অনুসারে গ্রামের নাম হয় কালীগড়ঃ বা কেলেগড়ঃ। পরে ব্রিটিশ রাজত্বে সরকারী কাগজপত্রে নাম লেখা হলো কালিয়াগড়।
          বর্তমানে সিদ্ধেশ্বরী কালীর সেবাইত চট্টোপাধ্যায় পরিবার। রোহিনীকান্ত মুখোপাধ্যায় প্রণীত কুলসার সংগ্রহ গ্রন্থে এই মন্দিরের প্রাচীনত্বের কথা জানা যায়। সেন বংশের আদিশূরের রাজত্বকালে ৯৫৪ শকাব্দ  অর্থাৎ ১০৩২ খ্রিস্টাব্দে  সিদ্ধেশ্বরী কালী মাতার পূজার সূচনা হয়।
       
      শ্রী কামাখ্যাপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত "মায়ের কথা " গ্রন্থ থেকে জানা যায় ,ভাগীরথীর পূর্বতীরে কোনো এক গ্রামে এক ব্রাহ্মণ বাস করতেন।একদিন কোনো কারণে  তিনি গৃহ ত্যাগ  করেন এবং প্রাণত্যাগ করার জন্য ভাগীরথীর জলে ঝাঁপ দেন। ভাগীরথীর উত্তাল ঢেউ তাঁকে ভাসিয়ে পশ্চিমতীরের গভীর জঙ্গলে এক প্রাচীন বেলগাছের নিচে এনে ফেলে। ক্লান্ত অবসন্ন সেই মানুষটি মায়ের স্বপ্নাদেশে সেই বেলগাছের  নিচে  দেবী আরাধনা শুরু করেন।
       পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী সতীর  দেহত্যাগের পর তাঁর দেহের অংশ যেখানে পড়েছিল ,শাক্তমতে সেগুলি হলো শক্তিপীঠ , আর গয়নাগাঁটি যেখানে যেখানে পড়েছিল ,সেগুলি হল উপপীঠ , এই টি হল বলয়উপপীঠ , সতীর বলয় বা হাতের বালা এখানে পড়েছিল।
          সেই মানুষটির পদবি ছিল মুখোপাধ্যায় , কিন্তু সিদ্ধেশ্বরী মায়ের পূজার অধিকার লাভ করেছেন বলে তিনি ও তাঁর বংশধরেরা অধিকারী পদবি ধারণ করেছিলেন।অধিকারী বংশের শেষ পুরুষ চন্দ্রনাথ অধিকারী ১২২৭ সনে স্বর্গলাভ করেন এবং তাঁর ভাগিনা কালীপ্রসন্ন চট্টোপাধ্যায় এরপর থেকে মায়ের পূজার ভার নেন।
           ওপর একটি মতে ,একসময় এই অঞ্চলেই বাস ছিল কুখ্যাত কেলে ডাকাতের , তার নাম অনুসারেই এই জায়গাটির নাম কেলেগড় বা কালিয়াগড়।

কালিয়াগড়

কালিয়াগড়  বলাগড় থানার অধীন এক প্রাচীন বর্ধিষ্ণু গ্রাম। এই জায়গার আদি নাম ছিল 'খুর্দ্দেশআ  মোহাম্মদপুর , ' এই গ্রামের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সিদ্ধেশ্বরী কালী মাতার নাম অনুসারে গ্রামের নাম হয় কালীগড়ঃ বা কেলেগড়ঃ। পরে ব্রিটিশ রাজত্বে সরকারী কাগজপত্রে নাম লেখা হলো কালিয়াগড়।
          বর্তমানে সিদ্ধেশ্বরী কালীর সেবাইত চট্টোপাধ্যায় পরিবার। রোহিনীকান্ত মুখোপাধ্যায় প্রণীত কুলসার সংগ্রহ গ্রন্থে এই মন্দিরের প্রাচীনত্বের কথা জানা যায়। সেন বংশের আদিশূরের রাজত্বকালে ৯৫৪ শকাব্দ  অর্থাৎ ১০৩২ খ্রিস্টাব্দে  সিদ্ধেশ্বরী কালী মাতার পূজার সূচনা হয়।
       
      শ্রী কামাখ্যাপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত "মায়ের কথা " গ্রন্থ থেকে জানা যায় ,ভাগীরথীর পূর্বতীরে কোনো এক গ্রামে এক ব্রাহ্মণ বাস করতেন।একদিন কোনো কারণে  তিনি গৃহ ত্যাগ  করেন এবং প্রাণত্যাগ করার জন্য ভাগীরথীর জলে ঝাঁপ দেন। ভাগীরথীর উত্তাল ঢেউ তাঁকে ভাসিয়ে পশ্চিমতীরের গভীর জঙ্গলে এক প্রাচীন বেলগাছের নিচে এনে ফেলে। ক্লান্ত অবসন্ন সেই মানুষটি মায়ের স্বপ্নাদেশে সেই বেলগাছের  নিচে  দেবী আরাধনা শুরু করেন।
       পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী সতীর  দেহত্যাগের পর তাঁর দেহের অংশ যেখানে পড়েছিল ,শাক্তমতে সেগুলি হলো শক্তিপীঠ , আর গয়নাগাঁটি যেখানে যেখানে পড়েছিল ,সেগুলি হল উপপীঠ , এই টি হল বলয়উপপীঠ , সতীর বলয় বা হাতের বালা এখানে পড়েছিল।

কালিয়াগড়

কালিয়াগড়  বলাগড় থানার অধীন এক প্রাচীন বর্ধিষ্ণু গ্রাম। এই জায়গার আদি নাম ছিল 'খুর্দ্দেশআ  মোহাম্মদপুর , ' এই গ্রামের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সিদ্ধেশ্বরী কালী মাতার নাম অনুসারে গ্রামের নাম হয় কালীগড়ঃ বা কেলেগড়ঃ। পরে ব্রিটিশ রাজত্বে সরকারী কাগজপত্রে নাম লেখা হলো কালিয়াগড়।
          বর্তমানে সিদ্ধেশ্বরী কালীর সেবাইত চট্টোপাধ্যায় পরিবার। রোহিনীকান্ত মুখোপাধ্যায় প্রণীত কুলসার সংগ্রহ গ্রন্থে এই মন্দিরের প্রাচীনত্বের কথা জানা যায়। সেন বংশের আদিশূরের রাজত্বকালে ৯৫৪ শকাব্দ  অর্থাৎ ১০৩২ খ্রিস্টাব্দে  সিদ্ধেশ্বরী কালী মাতার পূজার সূচনা হয়।
              শ্রী কামাখ্যাপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত "মায়ের কথা " গ্রন্থ থেকে জানা যায় ,ভাগীরথীর পূর্বতীরে কোনো এক গ্রামে এক ব্রাহ্মণ বাস করতেন।একদিন কোনো কারণে  তিনি গৃহ ত্যাগ  করেন এবং প্রাণত্যাগ করার জন্য ভাগীরথীর জলে ঝাঁপ দেন। ভাগীরথীর উত্তাল ঢেউ তাঁকে ভাসিয়ে পশ্চিমতীরের গভীর জঙ্গলে এক প্রাচীন বেলগাছের নিচে এনে ফেলে। 

Saturday, 6 August 2016

HOOGHLY জেলা হুগলী নদীর পশ্চিমদিকে অবস্থিত। এই  জেলার উত্তরে বর্ধমান,উত্তর-পশ্চিমে বাঁকুড়া,পশ্চিমে মেদিনীপুর ,দক্ষিণে হাওড়া,ও পূর্বে ভাগীরথীর ওপর পাড়ে ,নাদিয়া ওউত্তর  ২৪পরগনা অবস্থিত।যায় জেলার মোট আয়তন ১২১৫ বর্গমাইল।
       হুগলী জেলাতে পলিবাহিত সমভূমি ও উচ্চ ভূমি ,যায় দুই অঞ্চলকে ভাগ করেছে দারকেশ্বর নদ , বস্তুত পলিবাহিত সমভূমি অঞ্চলই এই জেলায় বেশি।ভূ -আলোচকেরা যায় জেলাকে তিনটি উপঅঞ্চলে ভাগ করেছেন--১)দ্বারকেশ্বর -দামোদর সন্নিহিত ভূমি ২)দামোদর-ভাগীরথী বিধৌত ভূমি ৩)চরভূমি।
দামোদর ও ভাগীরথী যায় দুই নদীর গতিপথ পরিবর্তনের সাথে সাথে যায় জেলার ভাঙা-গড়া নির্ভর করেছে। ঐতিহাসিকদের মতে