Saturday, 17 September 2016

ত্রিবেনী


ত্রিবেনী, হুগলী জেলার একটি ছোট শহর. এটা হিন্দুদের একটি পুরনো পবিত্র জায়গা।
এই  স্থানের পবিত্রতা বহু শতাব্দী ধরে স্বীকৃত হয়েছে এবং Pavana-Dutam, 12th শতাব্দীর শেষ ভাগে একটি সংস্কৃত টুকরা উল্লেখ করা হয়েছে। ত্রিবেনী তিনটি নদী, যমুনা, গঙ্গা ও সরস্বতী এর সঙ্গমস্থল , সম্ভাব্য আগের নাম "Muktaveni", যা এটা প্রয়াগ, এলাহাবাদ, Yuktaveni হিসাবে পরিচিত থেকে আলাদা ছিল; "Terbonee" 1781 দ্য নদী সরস্বতী বিখ্যাত হিন্দু দাহ এলাকা, সাধারণভাবে 'শ্মশান ঘাট' নামে পরিচিত।
পশ্চিমে সপ্তগ্রাম মধ্যে দক্ষিণ দিকে. এই নদী গঙ্গা, হুগলি বা ভাগীরথী নামে পরিচিত সাগরে গিয়ে মেশে । মুকুন্দ দেব ত্রিবেনী ঘাটের কাছে মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। যমুনা, সাধারণভাবে বাংলা যমুনা আগে দক্ষিণ পূর্ব দিকে গঙ্গা থেকে বন্ধ শাখা ছিল, কিন্তু সঙ্গমস্থলে কালক্রমে সঙ্গে ভরাট হয়েছে। জাফর খান গাজীর মসজিদ "গাজীর দরগা "যদিও সেখানে প্রমাণ যে এটা সময়ের একটি আরবি কালানুক্রম, 1298 . তারিখ আরও সত্য যে ত্রিবেনী নিকটবর্তী এলাকায় বরাবর, 1267 সালে জাফর খান দখল করে বাংলার বিজয় থেকে প্রায় 60 বছর পর দ্বারা তৈরি হয়. তার প্রবেশপথ হিন্দু বৈষ্ণব ভাস্কর্য উৎকীর্ণ যা মন্দির যার উপর সম্ভবত মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল তা বলা যেতে পারে। 

ত্রিবেনী, পুরাতন কাঠামো আর্কিটেকচার ও স্থানীয়দের ধর্মীয় বিশ্বাসের কাছাকাছি থাকা জন বসতির ইতিহাস বলছে , ত্রিবেনীতেও ইউরোপীয় অধিবাসীরা ছিল যে চন্দননগরের থেকে ব্যান্ডেল পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের তুলনায় বেশি। ত্রিবেনী তে সম্ভবতঃ 16th শতকের সপ্তগ্রাম বন্দরে সরস্বতী নদী পার বাণিজ্য সম্ভাবনা খুঁজছেন সেটা পর্তুগিজ & ফরাসি বসতি বেশী গুরুত্ব আরোপ করেছে। 1536-37 সালের দিকে বাংলার রাজা কাস্টম ঘর সাতগাঁও, আজকের সপ্তগ্রামে, ছিল  প্রধান বন্দর সহ পর্তুগিজ ট্রেডিং সেন্টার।


 ঐতিহাসিকদের মতে 1579 -80 খ্রিস্টাব্দে এখানে 5000 পর্তুগীজ অধিবাসীরা ছিল।
পরবর্তীকালে মোঘল আক্রমণ,সরস্বতী নদী মজে যাওয়ায় বাণিজ্যের সম্ভাবনা কমে যাওয়া ,প্রভৃতি বিভিন্ন কারণে ইউরোপীয় বণিকদল আস্তে আস্তে ত্রিবেণী ছেড়ে হুগলী ও কলকাতা বন্দরের দিকে সরে যায় বলে মনে করা হয়। 


চিরদিনই হুগলী জেলা কৃষিতে উন্নত ছিল, যায় অঞ্ছলে প্রচুর পাট চাষ হতো, হয়তো এই কারণেই ত্রিবেণীর গঙ্গার ধরে গড়ে ওঠে বাংলার প্রথম জুট মিল। যা আজও রয়েছে।
এছাড়াও এ অঞ্চলে তৈরি হয় প্রচুর কলকারখানা, ত্রিবেণী- টিস্যুস,বান্ডেল থার্মল পাওয়ার স্টেশন,কেশোরাম রেঅন।


আগেই বলেছি ত্রিবেণী গঙ্গার ঘাটটি অতি প্রাচীন ,এটি হিন্দু দের তীর্থস্থান। মনসামঙ্গলে বর্ণিত চাঁদ সওদাগরের কাহিনীতে যে নেতি ধোপানির কথা বলা হয়েছে, সেই নেতি ধোপানির পাটাটি আজও ত্রিবেণী গঙ্গার ঘাটের পাশেই রয়েছে।
ত্রিবেণী গঙ্গার ঘাটেই রয়েছে,বেণীমাধব মন্দির,প্রাচীন শিবমন্দির,কালীতলায় ডাকাতকালীর মন্দির,পাশেই বাঁশবেড়িয়ায় হংসেশ্বরী মন্দির,ও আরো অনেক দেব দেউল। 






দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত ভারতীয় সেনার বেসমেন্ট ক্যাম্প আজও ত্রিবেণী শিবপুরে দেখাযায়। 




No comments:

Post a Comment